18 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

আন্দোলনে কলেজছাত্রের মৃত্যু মাগুরার সাবেক এমপি বীরেন শিকদারসহ ১৭২ জনের নামে মামলা

মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র সুমন শেখ (১৮) নিহতের ঘটনায় ১৭২ জনের নামে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে মহম্মদপুর থানায় নিহত সুমন শেখের বাবা কান্নুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার, তার ভাই বিমল শিকদার, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনসহ দলীয় ১৭২ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে বলে যুক্ত বলে জানা গেছে।

নিহত সুমন শেখ মহম্মদপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মামলায় মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে সুমন শেখকে হত্যার হুকুম ও মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী কান্নুর রহমান উল্লেখ করেন, তার ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি বীরেন শিকদার, তার ভাই বিমল শিকদারের হুকুম ও মদদে গত ৪ আগস্ট সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হুমকি দিয়ে আসেন। পরে সুমন শেখসহ অন্যরা মিছিল নিয়ে মহম্মদপুর থানা এলাকায় যেতে চাইলে আসামিরা তাদের ওপর হামলা চালান। প্রথমে রাস্তায় ফেলে আসামিরা সুমন শেখকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। একই সময় বালিদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম তার হাতে থাকা রিভলভার দিয়ে সুমন শেখের বাম পাঁজরে গুলি করেন।

তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়।

মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, সত্যকে আড়াল করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির নেতারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) থানা আক্রমণ করতে গেলে গুলিতে দু’জন নিহত হন। এর অন্তত এক ঘণ্টা আগে আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে দিয়ে জীবন বাঁচাতে নিরাপদে আশ্রয় নেন। থানা এলাকায় ওই সময় আমাদের কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। এমন মিথ্যা মামলা পুলিশ কীভাবে নিল?

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাস মণ্ডল বলেন, কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে থানায় হামলা চালাতে এসেছিল। পথে দুই পক্ষের (বিএনপি ও আওয়ামী লীগ) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন আমরা থানার নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের আশঙ্কা ছিল। আমরা পরে খবর পাই যে দু’জন মারা গেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবার মরদেহ দু’টি দাফন করে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ সংবাদ

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

0
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে হাজার খানেক শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ...

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নতুন ডিজি কাউসার নাসরীন

0
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) কাউসার নাসরীন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র...

শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের সব নিরাপত্তা পাস স্থগিত

0
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের সব নিরাপত্তা পাস স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে পাসগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি...

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার

0
ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর...

‘শেখ হাসিনা নিজেকে অনেক কিছু ভাবতে পারেন, তবে বাস্তবতা ভিন্ন’

0
ভারতে বসে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে...