মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস বিকৃত করা এক শ্রেণীর মানুষের মজ্জাগত সমস্যা। তাদের কিছুই ভালো লাগে না, কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। জাতির পিতার অবদানকে খাঁটো করার চেষ্টা হলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। কারণ, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী।
বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে মন্তব্য করে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বুকে আমরা যে পরিচয়টা পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি সেটা তার হাত ধরেই এসেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি বিজাতীয় ভাষা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। মুজিব একটি জাতির রুপকার, এই সিনেমা দেখলেও কিন্তু ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার জেলে গেছেন। জাতির পিতা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। এই সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা আজ মুক্তি পেয়েছি।
মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস করা হয়। সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে বরাদ্দও দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর মার্শাল ল জারি হয়। সে সময় একটি সংবিধান রচনা হয়েছিল। সেখানে কিন্তু উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আর ছাত্রলীগ ৪৮ সালে। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের অসহনীয় ভূমিকা রয়েছে। বাঙালির যা কিছু প্রাপ্তি, তা কিন্তু আওয়ামী লীগই দিয়েছে। এটাই হলো বাস্তবতা।