বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তন্নি ইসলাম। গুলশানের স্থায়ী বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই বেশ রূপসচেতন। বিশেষ করে ঈদ এলেই তার ত্বক নিয়ে থাকে নানা ভাবনা। কেননা, এক মাস রোজা রাখার পরে স্কিনের গ্লো ভাব কমে যায়। শরীরেও আসে ক্লান্তি। যেহেতু কিছুদিন পরেই শুরু হবে কাক্সিক্ষত ঈদ-উৎসব। তাই স্কিনে গ্লো ধরে রাখা খুবই প্রয়োজন। তবে ঈদের কেনাকাটা এবং কর্মময় ব্যস্ততার কারণে পার্লার বা স্যালুনে যাওয়ার সময়ই পাচ্ছেন না। তাই ঘরে বসে নিজেই ফেসিয়াল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেক নারীরাই ব্যস্ততার জন্য পার্লারে যাওয়ার সময় পান না। তারা নিজেরাই ফেসিয়াল করে ফিরিয়ে আনতে পারেন ত্বকের উজ্জলতা। এক্ষেত্রে ফেসিয়ালের কয়েকটি স্টেপের মাধ্যমে স্কিনের জমা ময়লা দূর করা হয়। আর ফেসপ্যাকের সাহায্যে ত্বকের রাফনেস কমিয়ে স্কিন করে তোলা যায় গ্লোয়িং।
ফেসিয়ালের প্রথম ধাপ হলো স্কিন বুঝে ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ক্লিন করা। মুখে ও গলায় ক্লিঞ্জার ব্যবহার করে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে যেন ত্বকের ময়লা উঠে আসে। তবে খুব জোরে স্কিনে ঘষা দেওয়া যাবে না। এতে স্কিনে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। পরে একটা ভেজা কটন দিয়ে ক্লিঞ্জার পরিষ্কার করে নিতে হবে।
পরবর্তী ধাপে স্কিন একটু ভিজিয়ে ফেসিয়াল স্ক্রাব মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর সার্কুলার মোশনে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে ৫ মিনিট। কিন্তু চোখের চার পাশের স্কিন একেবারেই অ্যাভয়েড করে। এবার ভেজা কটন দিয়ে স্কিন পরিষ্কার করে ফেলুন।
এরপরে ত্বক মুছে নিন শুকনা করে। এবার স্কিন বুঝে ম্যাসাজ ক্রিম চেহারা ও গলায় অ্যাপ্লাই করে নিন। ম্যাসাজ করতে পারেন ১৫-২০ মিনিট। শেষ হলে নরম কটন দিয়ে ক্রিম তুলে নাও। সবশেষে ব্যবহার করুন ফেস মাস্ক। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করে নিন। এক্ষেত্রে যা যা লাগবে- এক টেবিল চামচ হলুদের পাউডার, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ মধু এবং পেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় পানি।
সব উপাদানগুলো এক সঙ্গে পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে নিন। তিন মিনিট রেখে পানি দিয়ে মুখ ও গলা ধুয়ে নিন। শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। রমজানে অনেকের ত্বকে পিগমেন্টেশন সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। যেমন- দাগ, পিম্পল বেড়ে যাওয়া, গ্লো কমে যাওয়া। এসব সমস্যা সমাধানেও ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। ঈদের দুই-তিনদিন আগেই ফেসিয়াল করে ফেলুন। এতে উৎসবের দিন আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।