এবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতার ছাড়ছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে হামাসের নেতারা কাতারে অবস্থান করছেন। দোহায় তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ও আছে। সেখান থেকে নানা আন্তর্জাতিক বিষয়ে যোগাযোগ ও আলোচনা করে হামাস।
তবে শোনা যাচ্ছে গত সপ্তাহে হামাসকে কাতার ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা থেকেও নিজেদের সরিয়ে নেয় ছোট কিন্তু প্রভাবশালী উপসাগরীয় দেশটি। কাতারের এই সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন ওঠে, এবার হামাস নেতারা যাবেন কোথায়? তা হলো কাতার ছেড়ে কোথায় যাবেন হামাস নেতারা? আমেরিকা ও ইসরায়েলের চোখ রাঙানি স্বত্ত্বেও কোন দেশ তাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেবে?
হামাস নেতাদের আশ্রয় দেয়ার সম্ভাব্য দেশের তালিকায় বেশ কয়েকটি আরব ও অনারব দেশের নাম ছিল। তবে অবশেষে হামাস নেতারা তুরস্কে গেছেন বলেই গুঞ্জন উঠছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তবে হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় কাতার থেকে তুরস্কে স্থানান্তর করেছে, এমন তথ্য সোমবার (১৮ নভেম্বর) খারিজ করে দেন একটি তুর্কি কূটনৈতিক সূত্র। ওই সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের সদস্যরা শুধু সময়ে সময়ে তাদের দেশ সফর করেন।