নিজস্ব প্রতিবেদক ; তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে দেশে। গত মার্চ মাস থেকে আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে বিপাকে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। ফলে দাম আরও বেড়েছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সবজি সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের ক্ষেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বারবার সেচ দেওয়ার কারণে সবজি উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। যে কারণে গ্রামের মোকামে সবজির দাম বেশি।
অন্যদিকে, বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও স্থিতিশীল হয়ে আছে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, নতুন দামের সয়াবিন বাজারে আসা শুরু হয়েছে। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি নতুন দাম ধরা হয়েছে ১৬৭ টাকা, যা আগের চেয়ে ৪ টাকা বেশি।
ইতিহাসের দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ বইছে গরমে মরছে মুরগি, আগস্টে ‘মারাত্মক’ দাম বাড়ার শঙ্কা বোরো: ৪৫ টাকা দরে চাল, ৩২ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সময় নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম ১৫ টাকা বেড়ে মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের আগে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।