নিহত-লতিফ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরের লতিফ (২৮) মুঠো ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাদক ব্যবসার জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টায় শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচাল মাদক ব্যবসায়ী শিরিনের বাড়ীতে ওই যুবককে মারধরের অভিযোগ করে তার স্বজনেরা। পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকৎসক রাত সাড়ে ১০টায় তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত লতিফ শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (কড়ইতলা) এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
নিহতের ছোট বোন খাদিজা আক্তার (২৩) বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক পৌণে ৮টার দিকে ঈদের দাওয়াতের কথা বলে মোবাইলে ফোন করে শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শিরিনের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায় ,তার বন্ধু একই এলাকার সরাফত আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ীর বাহিরে বের হলে, মোফাজ্জল লতিফকে বাঁশ দিয়ে এলাপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার মাথায় আঘাত লাগলে সে মাটিতে পড়ে যায় এবং তার মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে।
এসময় প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার ফাইজুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাত ৯টার দিকে লতিফকে আহত অবস্থায় তার বাড়ীতে রেখে যায়। পরে আশরাফুল লতিফের চাচাতো ও মামাতো ভাই ফারুক, নূর ইসলাম এবং কবির হোসেনকে ফোন করে জানায় লতিফকে মারধর করেছে। তাকে বাড়ীতে দিয়ে আসছি। খবর পেয়ে তারা শ্রীপুর থেকে বাড়ীতে গিয়ে লতিফকে বাড়ীর আঙ্গিনায় পড়ে থাকতে দেখে। তাদের দেখে গুরুতর আহত লতিফ বলে আমাকে মোফাজ্জল মারলো, কিছু করলে না তোরা। পরে দ্রুত লতিফকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকৎসক তাকে ইসিজি করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৃত ঘোষনা করে।
এলাকাবাসী জানান, নাজমুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয়রা সকলেই তার মাদক ব্যবসার সমন্ধে অবগত রয়েছে। ঈদের আগে শিরিনের বাড়ীতে একাধিকবার পুলিশ হানা দেয়। শিরিনের বাড়ীতে পুলিশ যাওয়ার কারণে সন্দেহ করে ডেকে নিয়ে লতিফকে পিটিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে তারা। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজমুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।