বাবর আজমের নেতৃত্বে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয় শান মাসুদকে। কিন্তু ব্যর্থতার ধারায় বদল আসেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। নেতৃত্ব পাওয়ার পর ৫ টেস্টেই হেরেছেন মাসুদ। যার সবশেষ সংযোজন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ।
নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাবর-মাসুদরা। লজ্জার হারের পর শান মাসুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্য কাজ করা।’
হারের কারণ হিসেবে নিজেদের অভিজ্ঞতার ঘাটতির কথা তুলে আনেন মাসুদ।
‘বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার আছে, যারা ৭০-৯০টি টেস্ট খেলেছে (মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান)। এ ছাড়া লিটন ও মেহেদী (মিরাজ) ৪০টির বেশি টেস্ট খেলেছে। আমাদেরও লাল বলের ক্রিকেটে এমন অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। টেস্ট ম্যাচ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। এখানে অভিজ্ঞতা লাগবেই। আমাদের আরও টেস্ট ও লাল বলের ক্রিকেট দরকার। আপনি টি-টোয়েন্টি খেলে টেস্টের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবেন না। বিজ্ঞানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আপনি গণিত পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। গণিত পরীক্ষা দিতে হলে গণিতের প্রস্তুতিই নিতে হবে। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাইলে, লাল বলের ক্রিকেটই খেলতে হবে।’
সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা দশ ম্যাচে জয় নেই পাকিস্তানের। হার ৬টিতেই, ৪টি ড্র। নিজের পারফরম্যান্সও ইতিবাচক কথা বলে না। টেস্টে গড়টা এখনো ৩০–এর নিচে—২৮.৫৩। নেতৃত্ব হাতছাড়া নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না মাসুদ।
‘দায়িত্ব হারানো নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। পরিবর্তন আনার জন্য দায়িত্ব নিয়েছি, আমরা বিশ্বাস করেছি এই পরিবর্তন দলের কাজে আসবে। আমার লক্ষ্য হলো যদি বিশ্বাস করি দল কোনো একটি সুনির্দিষ্ট একটা দিকে এগোতে পারে, সেখানে নিজে ব্যর্থ হলেও আমি খুশি হব দলের জন্য। যতটা সময় আমি পাব, কৃতজ্ঞ থাকব ও সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।’