নিজস্ব প্রতিবেদক : রায়ানা হোসেন তৃতীয় প্রজ*ন্মের উদ্যোক্তা। ‘সেই ১৯৫৩ সালে’ রক্সি পেইন্ট দিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর দাদা। সেই ব্যবসাকে পোশাকশিল্পে প্রসারিত করেছেন তাঁর বাবা। আর এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কিছু করতে চেয়েছেন তিনি। নিজের ভালো লাগার বিষয় ‘ডিজাইন’কে ঘিরে শুরু করলেন নতুন ধারার আসবাব–উদ্যোগ। মাত্র পাঁচ বছরে গ্রাহক–চাহিদা, অভিনব ডিজাইন আর স্বতন্ত্র ব্যবসায়িক কৌশল কাজে লাগিয়ে বাজারে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে ‘ইশো’। বাংলাদেশি জনপ্রিয় ফার্নিচার ব্র্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন।
ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচারে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন রায়ানা হোসেন। ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে আর্কিটেকচার ও ভিজ্যুয়াল আর্টসে করেছেন স্নাতক। চিত্রকলা তাঁকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। বাংলাদেশি শিল্পী আর পেইন্টিংকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। তৈরি করতে চান নতুন বাজার আর পরিচিতি। সেই স্বপ্ন থেকে সম্প্রতি শুরু করেছেন ‘প্ল্যাট-ফর্মস’। অনলাইন এই আর্ট গ্যালারি ও মার্কেটপ্লেসে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের ছবির পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে নতুন শিল্পীদের কাজ।
পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফেরার পর যখন আবাসন ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ শুরু করলেন রায়ানা; দেখলেন, এখানে একটি ফাঁকা জায়গা আছে। বিশেষ করে গ্রাহকদের একটি বড় অংশ আধুনিক ফার্নিচারের বিদেশি ডিজাইনে প্রভাবিত হন। সেই সঙ্গে দেশে তরুণদের জীবনধারায় আসছে নতুনত্ব, রুচি আর ডিজাইন-চাহিদার পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু তাঁর মনে হলো, বাংলাদেশি আসবাব প্রতিষ্ঠানগুলো এসব বিষয় নিয়ে ওভাবে ভাবছে না। দেখতে পেলেন নতুন কিছু করার ব্যবসায়িক সম্ভাবনা। শুরু করলেন মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন ফার্নিচার ডিজাইন। শুরু থেকেই অনলাইনে কেনাকাটায় জোর দিলেন। সে কারণেই হয়তো করোনাকালে রায়ানার ‘ইশো’ বেড়ে বড় হলো কয়েক গুণ। তখন তাঁর মনে হতো, ঢাকার মতো বড় শহরেই মূলত গ্রাহক পাবেন। কিন্তু ছোট শহরেও সমান হারে গ্রাহক বাড়াতে লাগল ইশো।