তাইওয়ান জানিয়েছে, রবিবার সকালে স্ব-শাসিত দ্বীপ রাষ্ট্রটির কাছে চীনের ৩৭টি যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক বিমান দেখা গেছে। চীনের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রমকে ‘দীর্ঘ দূরত্বের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের ওপর চীনের সামরিক চাপ বাড়ছে, যার মাধ্যমে বেইজিং দ্বীপটির ওপর তার সার্বভৌমত্বের দাবি জোরদার করতে চাইছে। রবিবার সকাল ৯টা থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে এই বিমানগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ৩৫টি বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মাঝরেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হয়।
চীনের এই সামরিক কার্যক্রমের জবাবে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী তাদের যুদ্ধবিমান, নৌবাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করে। এর একদিন আগেই তাইওয়ান চীনের একটি ‘যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল’ নজরদারি করেছিল, যেখানে যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজও অংশ নিয়েছিল।
তাইওয়ান আরও জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা চীনের ২৭টি বিমান এবং ৬টি যুদ্ধজাহাজ পর্যবেক্ষণ করেছে। চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে এবং দ্বীপটিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি।
গত মাসেও চীন তাইওয়ানের আশেপাশে বড় আকারের সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছিল। তাইপে এবং তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র কঠোরভাবে এটার নিন্দা জানিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে বেইজিং প্রশান্ত মহাসাগরে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ দীর্ঘ দূরত্বের সামরিক প্রশিক্ষণও পরিচালনা করেছিল।