২৭শে ফেব্রয়ারি মঙ্গলবার : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরকারের সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। এগুলো হচ্ছে রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি সরকারের চ্যালেঞ্জকে কীভাবে দেখেন?
হাছান মাহমুদ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি ও ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। বর্তমানে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ একটা সময়ের মধ্যে আমরা রয়েছি। পৃথিবী প্রচণ্ডভাবে বিভক্ত। এ সময়ে কূটনৈতিকভাবে সফল হওয়া, এটা অত সহজ কাজ নয়। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য হলো—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।
আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতিই অনুসরণ করছি, যেটির ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে গেছেন। নির্বাচন নিয়ে বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত, নির্বাচন হবে কি হবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন হলে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না। এর মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের দেশে যে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে, সমগ্র পৃথিবী সেটি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে।
কারও কারও কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও সেটি কেটে গেছে। মানণীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের প্রায় ৭০টির মতো দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে তাঁর সরকারের সঙ্গে কাজ করার এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ সরকার পৃথিবীব্যাপী একটি গ্রহণযোগ্য সরকার হবে কি না, সেটা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল।