বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ বিধান আইনের অধীনে চলমান সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই আইন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার ছিল না কারোর। তবে এ নিয়ম আজ বাতিল করলো অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (১৮ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বার্তায় বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উত্থাপিত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, বিশেষত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান), আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০১১) এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে বিরূপ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং এর ফলে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে বা হতে পারে।
এ অবস্থায় এই আইনের অধীন চলমান সব প্রকার নেগোসিয়েশন, প্রকল্প বাছাই বা প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এই আইনের অধীন ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গৃহীত সব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বেশকিছু বিতর্কিত আইনের একটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০।
২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিধান বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন’ প্রণয়ন করে সরকার। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য এই আইন করা হয়েছে। শুরুতে কেবল দুই বছরের জন্য করা হলেও ২০১২, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২১ এ চার দফায় সংশোধনের মাধ্যমে এই আইনের মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী এই আইনের মেয়াদকাল ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
এই আইনের ৯ নম্বর ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়ে আসছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।