নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীরা যেমন পুরুষের ভেতর নির্দিষ্ট কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য খোঁজেন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা সত্যি (প্রতীকী ছবি)
নারীরা যেমন পুরুষের ভেতর নির্দিষ্ট কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য খোঁজেন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা সত্যি (প্রতীকী ছবি)ছবি: পেক্সেলস ডটকম
সঙ্গী পছন্দ করার বিষয়ে ছেলেদের নিয়ে একটা ‘কথা’ বেশ চালু আছে। ছেলেরা নাকি মোটামুটি ‘সবাইকেই’ ‘আপনি তো খুব সুন্দর’–জাতীয় বার্তা পাঠায়। স্বাভাবিকভাবেই ‘বেশির ভাগই’ মেসেজ সিন করে না বা পাত্তা দেয় না। তারপর যে মেয়ে সেই মেসেজের রিপ্লাই দেয়, তার সঙ্গেই ছেলেটার প্রেম হয়ে যায়! মজা করে বলা হলেও অনেকেই কথাটাকে সত্যি ভেবে বসেন। নারীরা যেমন পুরুষের ভেতর নির্দিষ্ট কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য খোঁজেন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা সত্যি। যদিও প্রতিটা মানুষের চাহিদা, পছন্দ-অপছন্দ ভিন্ন। তবে কিছু ‘কমন’ বিষয় আছে, পুরুষ যেগুলোতে আটকাবেই। দীর্ঘমেয়াদি, স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় পুরুষেরা নারীর ভেতর কিছু গুণ দেখতে চায়। কী সেগুলো? চলুন দেখে নিই।
১. মনোযোগী শ্রোতা, সমর্থক
পুরুষ চায়, তার সঙ্গী তার কথা মন দিয়ে শুনুক। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানসিক আস্থার জায়গা হয়ে থাকুক। তাই মনোযোগী শ্রোতা আর সমর্থক সঙ্গীকেই মনে মনে খুঁজতে থাকে একজন পুরুষ। নাটক–সিনেমার সেই ডায়ালগের কথা মনে আছে—‘তুমি পাশে থাকলে আমি বিশ্বজয় করতে পারি?’ পুরুষ নারীর কাছ থেকে এই সমর্থন আশা করে সব সময়। তাই পেছনে টেনে না ধরে যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গীর হাত শক্ত করে ধরে রাখুন।
২. সৌন্দর্য
বলা হয়ে থাকে, নারীর সৌন্দর্য আর পুরুষের অর্থ–সম্পদ বিপরীত লিঙ্গকে সবচেয়ে টানে। কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। আবার একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতোও নয়। বলিউড তারকা শাহরুখ খানকে যতবার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, গৌরীকেই কেন তিনি জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন? তিনি উত্তর দিয়েছেন, ‘ও খুবই আকর্ষণীয়। সেটা অগ্রাহ্য করতে পারিনি।’ একই উত্তর দিয়েছেন রণবীর সিংও দীপিকা পাড়ুকোনের ক্ষেত্রে। নারীর শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি যে পুরুষের আলাদা একটা টান আছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না।
৩. ভালো ফ্যাশনবোধ
আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, ভালো ফ্যাশন সেন্সের নারীরাই সবার আগে পুরুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। কেননা, নিজেদের যাঁরা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে জানেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। শুধু তা–ই নয়, গবেষণা জানাচ্ছে, পেশাগত ক্ষেত্রেও এই ক্যাটাগরির নারী ও পুরুষেরা পদোন্নতিতে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকে।
৪. সামাজিকতা
একটা কথা প্রচলিত আছে—নারীরা নাকি সাধারণত অন্তর্মুখী (ইন্ট্রোভার্ট) ছেলেদের পছন্দ করে। আর ছেলেরা নাকি বহির্মুখী (এক্সট্রোভার্ট) মেয়েদের পছন্দ করে। সামাজিকভাবে সক্রিয় মেয়েরা সহজেই পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আপনি সবার সঙ্গে খুব সুন্দর করে মিশতে পারেন, কথা বলতে পারেন, যোগাযোগ করতে পারেন—এই ব্যাপারগুলো পুরুষের কাছে আপনাকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে। এ ছাড়া পুরুষ এমন নারীকে সঙ্গী হিসেবে চায় যে তার পরিবারকে সম্মান করে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে।
৫. স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারা, স্বাধীনচেতা
ছোট–বড় সব বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারা, সঙ্গী দ্বিধাগ্রস্ত থাকলে তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারা নারীরা সঙ্গী হিসেবে ভালো। কেননা, পুরুষও ভেতরে ভেতরে আস্থা, নির্ভরতা খোঁজে। তবে সেটার ধরন ভিন্ন।