পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় প্রতিরোধ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং’ করছে সরকার।
তিনি বলেন, এটি দেশের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ এবং আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও নীতিমালা গ্রহণে সহায়ক হবে। এ কার্যক্রমের আওতায় টিলা এবং পার্বত্য অঞ্চল, হ্রদ, হাওর, বাঁওড়, বিল এবং ঝিলসহ প্রাকৃতিক জলাভূমির একটি বিশদ মানচিত্র প্রস্তুত করা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়, পাহাড়ি অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক জলাভূমির ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল’- এর ডেটাবেস সংরক্ষণ, দৃশ্যায়ন, প্রক্রিয়াকরণ এবং অনুসন্ধানের জন্য একটি এমআইএস সিস্টেম প্রস্তুত করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রাকৃতিক মূলধন বোঝার মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবা, কোন লোকদের বর্তমানে এই পরিষেবাগুলির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, এবং কোথায় সম্পদ তৈরি বা বর্ধিতকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা বোঝা যাবে। প্রাকৃতিক মূলধনের ম্যাপিং স্থানীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে এর বর্তমান এবং সম্ভাব্য মূল্যকে একীভূত করার জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করতে সহায়ক হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।