[ছবি সংগৃহিত]
দখলকৃত পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রশিক্ষণ এলাকায় দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৬০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হামলায় আরও অনেক রুশ সেনা।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলা প্রসঙ্গে একাধিক সূত্র বিবিসিকে বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডার দোনেৎস্ক অঞ্চলে পৌঁছানোর কথা ছিল। তাই রুশ সৈন্যরা জড়ো হয়েছিলেন।
প্রশিক্ষণ শিবিরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে অনেকের মরদেহ পড়ে আছে।
পরে পুতিনের সাথে বৈঠকে দোনেৎস্কের ওই অঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সফল হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে রুশ সৈন্যদের আভদিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
তবে দোনেৎস্কের ট্রুডোভস্কি গ্রামের কাছের এই হামলার বিষয়ে রাশিয়া অথবা ইউক্রেন— কোনও দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ৩৬তম মোটরচালিত রাইফেল ব্রিগেডের সদস্যরা সাইবেরিয়ার ট্রান্সবাইকাল অঞ্চলে অবস্থিত পূর্ব সামরিক অঞ্চলের ২৯তম সেনা কমান্ডের মেজর জেনারেল ওলেগ মোইসিয়েভের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এই হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন সৈন্য বলেছেন, ৩৬তম রাইফেল ব্রিগেডের কমান্ডাররা সৈন্যদের উন্মুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমারস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সৈন্যদের লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
হামলার ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।