পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তিন দিন হয়ে গেছে, কিন্তু চূড়ান্ত নির্বাচনের ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দার মুখে থাকা পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে। এসবের কারণে পাকিস্তানের সমস্যা বাড়বে নিশ্চিত।
পাকিস্তান নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি আপডেট
এখন পর্যন্ত ফলাফলে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত ৯৩ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যেখানে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন জিতেছে ৭৩টি আসন, বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। আটটি আসনে এখনো নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
ইমরান খানের দলে সর্বাধিক সংখ্যক সমর্থিত প্রার্থী রয়েছে, তবে তারা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার চিহ্ন থেকে ৩১টি আসন কম। নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলগুলোর মধ্যে বৈঠক চলছে, কিন্তু উভয়ে মিলিত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠের সংখ্যায় পৌঁছাতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে নওয়াজ শরিফের দল অনেক স্বতন্ত্র বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
নির্বাচনের ফলাফলে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বলেছে যে ইন্টারনেটে আরোপিত নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞার কারণে ফলাফল জানতে দেরি হচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে, নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এনের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমর্থন রয়েছে। এমতাবস্থায় নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবশ্যই কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করবে। অনেক স্বতন্ত্র বিধায়ক নওয়াজ শরিফের দলকে সমর্থন করতে পারেন। তিন নির্দল বিধায়কও এই ঘোষণা করেছেন।
পাকিস্তানে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা যে অক্ষুণ্ণ রয়েছে তা নির্বাচনের ফলাফল থেকে স্পষ্ট। পিটিআই প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং এর নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তা সত্ত্বেও মানুষ তাকে সমর্থন করেছে।
নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপির গুরুতর অভিযোগ করেছে পিটিআই। পিটিআই আজ লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি সহ অনেক শহরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার ঘোষণা করেছে।
পিটিআইয়ের অনেক নেতা নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পিটিআইয়ের আরও অনেক নেতা আদালতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।