তিন দফা সময় বাড়িয়েও নির্ধারিত হজ কোটা পূরণ না হওয়ায় ৪৮ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যাচ্ছে। সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করে ফাঁকা থাকা কোটা ফেরত দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি সংশোধন করা হবে। শিগগিরই নতুন করে চুক্তি সংশোধন করে পূরণ না হওয়া কোটা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এদিকে হজ নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের কাছে চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ করেন হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৩৬৯ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৪ হাজার ২০৪ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসেবে এখনও কোটা খালি রয়েছে ৪৮ হাজার ৮২৯টি।
জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম বলেন, আর সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সৌদি সরকার আর কোনভাবে নিবন্ধনের সুযোগ দিতে চায় না। অনেক চেষ্টা করে নিবন্ধনের জন্য বিশেষ ৮ দিন বের করতে পেরেছি। আর কোনো সময় বাড়বে না। যারা নিবন্ধন করছেন তাদের নিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম দফা নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায়। সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সময় বাড়ানোর দাবিতে হাব জানায়, আজ বিকেল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭১ হাজার ৬৮৯ জন। আরো প্রায় ৪ হাজার ১০০ জনের পেমেন্ট ভাউচার পেন্ডিং আছে। এছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন সার্ভার ডাউন থাকার কারণে অনেক হজযাত্রীর নিবন্ধন করা সম্ভব হয় নাই মর্মে হজ এজেন্সিসমূহ হাবকে অবহিত করেছে। এমনকি পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আরো অনেক হজযাত্রী অপেক্ষমান রয়েছেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি।
এদিকে যারা হজে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হবে শিগগিরই। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট স্ব স্ব এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ গ্রহণ করবেন।