সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ঘুমের বিকল্প নেই। কারণ সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে ঘুম। তাই প্রতি রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা রয়েছে। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
রাতে ভালো ঘুম না হলে সারা দিন ধরে হাই উঠতে থাকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু ঘুম পাওয়া বা অত্যধিক পেট ভর্তি হয়ে যাওয়াই হাই ওঠার কারণ হতে পারে না। খুব বেশি হাই উঠতে থাকলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
• এক আধটা দিন রাত জেগে গল্প করলে বা সিনেমা দেখলে পরের দিন সকাল থেকে ক্লান্ত লাগতেই পারে। ঘুমে আছন্ন হয়ে বার বার হাইও উঠতে পারে। কিন্তু ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘ইনসোমনিয়া’র মতো সমস্যা থাকলে নিয়মিত ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাই অতিরিক্ত হাই উঠলে সাবধান থাকা উচিত।
• নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের প্রভাবেও অনেক সময়ে ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। কাশি কমানো বা স্নায়ুর কোনো রোগের ওষুধ খেলে আচ্ছন্ন ভাব থাকে অনেকেরই। তার থেকেও হাই ওঠে।
• মাথার অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়।
• অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও অতিরিক্ত হাই ওঠে অনেকের। কোনো বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যহত রাখতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে তবে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।