বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লোগো।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করা মৌমিতা পরিবহন বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিযেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বাস মালিক সমিতি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ উত্ত্যক্তকরণ, যৌন নিপীড়ন বন্ধে ২০০৯ সালের মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে তা আমলে নিয়েছে মহিলা পরিষদ। সংস্থাটি যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১৪ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে টিউশন শেষে মৌমিতা পরিবহনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিল। এ সময় ওই ছাত্রী হেলপারকে ভাড়া দিলে, হেলপার ভাঙতি নাই দেখে পরে দেবে বলে জানায়। বাসটি সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় এলে সব যাত্রীদের বাস থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বলে। ওই ছাত্রী বাকি টাকা ফেরত চাইলে বাসের হেলপার তার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলে। এরপর বাসচালক ওই ছাত্রীকে একা রেখেই বাস চালাতে শুরু করে। ওই ছাত্রী ভয় পেয়ে বাস থেকে ঝাঁপ দেয় এবং পায়ে আঘাত পায়। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।