বাড়ির সব সদস্যকে তো আর এভাবে পাওয়া যায় না সব সময়, তাই আমাদের সবারই কম-বেশি রান্নার হাত খুলে গিয়েছে! চুটিয়ে রাঁধা খাওয়া করতে এক দলের যেমন দারুণ ভালো লাগছে, তেমনই যাঁদের রোজ রাঁধার অভ্যেস নেই, তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন যে খাবার বানানোর মধ্যে অন্যরকম একটা ক্রিয়েটিভিটি আছে। এই মারণ ভাইরাস আমাদের স্বাধীনতা যেমন কেড়েছে, তেমনই শিখিয়েওছে অনেক কিছু। পরিচিত উপাদান কাজে লাগিয়ে কাছের মানুষদের জন্য দারুণ স্বাদু কিছু একটা বানিয়ে ফেলার তৃপ্তিটাই যে আলাদা, তা কি আপনি আগে জানতেন, বলুন? আইটিসি হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘরবন্দি থাকা অবস্থায় নেওয়া এই ধরনের উদ্যোগেরই নাম দিয়েছেন ‘ফুড ফর থট’। আইটিসি মৌর্যের এগজিকিউটিভ শেফ রাজদীপ কাপুর পরামর্শ দিয়েছেন, “এই কঠিন সময়টিকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য এমন খবার খান যা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর বটে। জটিল নয়, সহজ রেসিপি খুঁজে বের করুন। ডাল, সবুজ শাকসবজি খান বেশি করে, তাতে বাড়বে ইমিউনিটি।”
সুজির টোস্ট
(এটি অতি পরিচিত সান্ধ্য জলখাবার, চায়ের সঙ্গে দারুণ জমে। যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরা মাখন বাদ দিন, বাড়ান সবজির পরিমাণ — পালং, বিনস, ভুট্টা দেওয়া যায়। যাঁরা ঝাল ভালোবাসেন, তাঁরা কাঁচালঙ্কা কুচিয়ে দিন। যদি ময়দার পাউরুটি ব্যবহার করতে ইচ্ছে না হয়, তা হলে পছন্দমতো যে কোনও পাউরুটি নিন – আটার রুটি বা মাল্টিগ্রেন পাউরুটিও চলবে।)
উপকরণ
½ কাপ সুজি
3 টেবিলচামচ দই
¼ কাপ বাঁধাকপিকুচি
¼ কাপ গাজরকুচি
5 গুছি ধনেপাতা
½ চা চামচ গোলমরিচ
4 স্লাইস পাউরুটি
2 টেবিলচামচ মাখন
2 টেবিলচামচ ঘি
স্বাদ অনুযায়ী নুন
পদ্ধতি
ধনেপাতা, বাঁধাকপি, গাজর কাটার আগেই খুব ভালো করে ধুয়ে নিন।
একটা বড়ো বাটিতে সুজি নিয়ে তাতে দই মিশিয়ে দিন।
এইভাবে রাখতে হবে মিনিট 15। সুজি যেন দইতে ভালো করে ভিজে যায়।
এর মধ্যে নুন, গোলমরিচ আর সব সবজি মিশিয়ে দিন, তারপর ফেটিয়ে নিতে হবে।
পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে নিন হালকা করে।
ফ্রাই প্যানে ঘি দিয়ে গরম করুন।
পাউরুটি সুজির ব্যাটারে ডুবিয়ে কোট করে নিন ভালো করে।
কম আঁচে এপিঠ ওপিঠ করে মুচমুচে, সোনালি করে ভেজে নিন।
এবার লম্বা লম্বা করে কেটে টোম্যাটো সস আর সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।