কপ-২৯ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেই প্রবাসী ও তাদের পরিবারের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা। বললেন, বিদেশ যাওয়া আসায় প্রবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হবে না শাহজালাল বিমানবন্দরে।
প্রিয়জনের মায়া ত্যাগ করে হাড় ভাঙ্গা খাটুনির উদ্দেশে যারা বিদেশ যান তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের টাকায় চলে বাংলাদেশ। তবে বছরের পরে বছর ধরে ঢাকার বিমানবন্দরে অবহেলা আর অমর্যাদার শিকার হয়ে আসছিলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এছাড়া প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনরা টার্মিনালের বাইরে অপেক্ষায় থাকতেন ঘণ্টা পর ঘণ্টা।
বিদেশ থেকে ফেরা প্রবাসীদের কষ্ট লাগবে এবার অন্তর্বর্তী সরকার বিমানবন্দরে স্থাপন করলো বিশেষ লাউঞ্জ। মাল্টিলেভেল কার পার্কিং এর দ্বিতীয় তলায় নির্মিত লাউঞ্জে রয়েছে, তথ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি সুবিশাল অপেক্ষার জায়গা, শিশু যত্নের ঘর, নামাজের ঘর ও সুলভ মূল্যের ক্যাফেটেরিয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। ফ্লাইট অবতরণের আগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে বিমানবন্দরে আসা প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতরা এ সুবিধা পাবেন।
আজারবাইজানে জলবায়ু সম্মেলনে চারদিনের সফর শেষে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮ টায় দেশে ফিরেই শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য বহুল কাঙ্ক্ষিত এ পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তিনি বলেন, প্রবাসীদের আরামদায়ক যাত্রার ব্যবস্থা করাই সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আরো সংস্কার হবে। এখানে এসে যেন স্বস্তি পান। কোনো কিছু চিন্তা করতে হয় না। এখানে আমি আর বিমান। আমাদেরকে যেখানে যাওয়ার সেখানে নিয়ে যাবে। কাউকে দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে না। যোগাযোগ যা করতে হয় এখানেই বসে করবেন। যাতে সহজেই আপনি যেতে পারেন।’
এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর), বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বিদেশগামী প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাসী লাউঞ্জ’ উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেদিনই ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য এমন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। উদ্বোধনকালে সে গল্প তুলেন ধরেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এইটা তো ভিতরে। বাহিরে যারা আছে তারা কি করবে। বিশেষ করে একেকজন একেক সময় আসে। সারাক্ষণ বসে থাকে কখন বিমান ছাড়বে। সঙ্গে দুই চারজন পরিবারের সদস্য এসেছে। কাজেই সেজন্য একটা আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লেগেছে। গত তিন মাসে প্রবাসী নাগরিকদের কাছ থেকে ৭শ’ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।