28 C
Dhaka
রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৪

বিদ্রোহীরা মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে !

বিদ্রোহীদের তোপের মুখে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একের পর এক শহর দখল করছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ক্ষমতা দখলের পর বর্তমানে সবেচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা প্রশাসন। এবার তারা সরকার গঠনের কথা জানান দিয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ) জানিয়েছে, তারা আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠন করবে। মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে এ সরকার গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পিএসএলএফ মূলত তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। এটি ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয়েছিল।

দেশটিতে জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীরা জোটবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের এ জোটে টিএনএলএ ছাড়াও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং আরাকান আর্মি সক্রিয় রয়েছে। গত বছরের ২৭ অক্টোবরে উত্তর শান রাজ্য থেকে তাদের তৎপরতা শুরু করে এ জোট। তাদের হাতে জান্তার ২০টি শহর ও চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের পতন হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিএনএলএ নামসান, মানটং, নামকেম, কুতকাই, নামতু, মংল ও মঙ্গজিউয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা স্থানীয়দের বিভিন্ন সশস্ত্র দলে ভেড়াতে জোর করে বাধ্য করা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

গোষ্ঠীটির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল টার আইক বং জানুয়ারিতে তায়াং জাতীয় বিপ্লব দিবসের বক্তৃতায় তায়াং বাস্তুচ্যুতদের স্বাধীন হওয়া এলাকা পুনর্গঠনে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীন হওয়া এলাকাগুলো পুনর্গঠনে আমরা জনগণকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাই।

জানুয়ারি থেকেই এ গোষ্ঠীটি কুতকাই ও নামতুতে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ শুরু করেছে। টিএনএলএ নিরাপত্তা, আইনের শাসন, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসন হঠানো আমাদের স্বপ্ন। আমরা টিএনএলএর উপর আস্থা রাখি। তারা স্বাধীন এলাকাগুলো পুনর্গঠন করতে পারবে বলেও আমরা আশা করছি।

চলতি মাসে পিএসএলএফের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন। গোষ্ঠীটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জনগণকে সারমিক শাসন ভাঙতে এবং ফেডারেল ও গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এতে সব জাতিগোষ্ঠী শান্তিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করতে পারে। তায়াং সংঘাত ও সামরিক শাসনে ভুগছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ সংবাদ

তারাও কি হিমায়িত হতে পারে

0
শিল্পীর চোখে কৃষ্ণগহ্বররয়টার্স নতুন এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল আসলে হিমায়িত তারা হতে পারে। এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের ব্ল্যাকহোল তেজস্ক্রিয়া বিষয়ে একটি প্যারাডক্সের...

গৌরীপুরের সিধলং বিলে লাল শাপলার রাজত্ব

0
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলং বিল ‘শাপলার রাজ্য’ নামে পরিচিত। গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের বিলটিকে ‘সিধলা বিল’ নামেও চেনে লোকে। বর্ষায় এই বিল সেজে ওঠে লাল–সাদা শাপলায়।...

“দ্বিধার প্রতিধ্বনি”

0
নিশ্বাসেরও কোনো ভরসা নেই, মুহূর্তে থেমে যাবে বোধহয়। চঞ্চলতার মাঝে লুকিয়ে থাকে, জীবন যেন মিছেই খেলায় রত। বিশ্বাসেরও বিশ্বাস নেই, মানুষের মনে দ্বিধা খেলে। কেউ পাশে থাকে, আবার কেউ মুছে যায়...

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হোক

0
ফাইল ছবি সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো...

ট্রেন্ড পূজার আয়োজনে হৈমর শাড়ি

0
দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে এসেছে বর্ণিল ও আকর্ষণীয় উৎসবের পোশাক। দেশীয় অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড হৈমর পূজার কালেকশনে এ...