নারী দিবসের বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হলে স্যাররা আমাকে সেদিনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন।
সেদিনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমি এয়ারপোর্টে পৌঁছে যাই। আমার বিভাগের অন্যরাও চলে আসেন। সেদিন সকালের শিফটে ছিলেন ১০ জন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে আসেন আরও ১০ জন। প্রত্যেককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ব্রিফ করি। শুরু হয় আমাদের কাজ। একে পাসপোর্ট চেকিং করে বোর্ডিং সম্পন্ন হলো। ককপিট ও কেবিন থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিলাম। বিমানের দুই অংশ থেকেই ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর যাত্রীদের বিমানে তোলা হলো। চাকরিজীবনের শেষ সময়ে চলে এসেছি। সেই ১৯৮৯ সালে জুনিয়র ট্রাফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যোগ দিয়েছিলাম। ধাপে ধাপে এই পর্যন্ত আসা। বিদায় বেলায় এসে দারুণ এক মুহূর্তের সাক্ষী হলাম ৮ মার্চ। বিমান যদিও প্রত্যেককে একজন কর্মী হিসেবেই বিবেচনা করে, তারপরও একজন নারী হিসেবে সমস্ত কাজ নিজেরা সম্পন্ন করার মধ্যে আলাদা আনন্দ আছে।