আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। বয়স কেবলই যে একটি সংখ্যা, তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্তই হয়তো স্থাপন করে ফেললেন ৬০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন এ ‘তরুণী’। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন, তরুণীই বটে! নয়তো যে বয়সে পা দিয়ে বেশিরভাগ মানুষই জীবনীশক্তি হারাতে থাকেন, সোজা হয়ে চলাফেরার শক্তিটাও যে বয়সে হারিয়ে ফেলেন অনেকে, সে বয়সেই কিনা মারিসা মাথায় পড়লেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) আর্জেটিনার বুয়েনস এইরেস প্রদেশের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিনি। আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজই বিশ্বের প্রথম নারী, যিনি ৬০ বছর বয়সে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন।
পেশায় সাংবাদিক ও আইনজীবী মারিসা এখন প্রহর গুনছেন মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনার ফাইনালে জেতার। আর এমনটা হলেই মিস ইউনিভার্সের বিশ্বমঞ্চ সাক্ষী হবে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা সুন্দরীদের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠতে দেখা যাবে ৬০ বছর বয়সী ব্যতিক্রমী এক তরুণীকে।
প্রাদেশিক সেরা সুন্দরীর মুকুট জয়ের পর উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে মারিসার কণ্ঠেও। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিসা বলেন, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নতুন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি, যেখানে কেবল নারীদের শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করা হয়।
আগামী মাসের শেষভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা জেতার ব্যাপারেও অনেকটা আত্মবিশ্বাসী বলে এ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন ঘোষণা করেছিল, এখন থেকে প্রতিযোগীদের জন্য আর বয়সের সীমা থাকবে না। এবার থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো নারী সুন্দরী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচ্য হবেন। এর আগে শুধুমাত্র ১৮-২৮ বছর বয়সী নারীরাই অংশ নিতে পারতেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়।
মিস ইউনিভার্স ২০২৪ এর মূল প্রতিযোগিতা এবার অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকোতে। এর আগে ১৯৭৮, ১৯৮৯, ১৯৯৩ ও ২০০৭ সালে মোট চারবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজক হওয়ার সম্মান অর্জন করেছে উত্তর আমেরিকার এ দেশটি।