তাঁর ঠোঁটের নিচের তিলটা বড়ই দুঃখী
দুঃখই কি আরো বেশি সুন্দর করেছে তাকে?
তাঁর চোখে অল্প অল্প হাসি
সে সারাদিনই ব্যাস্ত টুকিটাকি -সংসারের কাজে
চোখের যত্ন সে করে কি? কাজল টানে,তুলিতে?
আয়নাতে একটু দেখে কি নেয়?
দু’কাঁধ ছোঁয়ানো খোলা চুল
ঘাড় একপাশে এলিয়ে নিয়েই সে-
একটু ফিক করে হাসে, কি আয়নাকে?
সে সারাদিনই ব্যাস্ত- সংসারের কাজে
তাঁর ফাঁকেই ফাঁকেই সে পড়তেও ভালোবাসে
সে খুব তাড়াতাড়িতে উত্তরও’ লেখে-
“প্লিজ, কিছু মনে করবেন’না, খুব ব্যাস্ত আসলে
একটু সময় পেলেই পড়বো, লেখাটা, কেমন!”
সে সারাদিনই ছুটাছুটি নানান কাজে
চেম্বার,তাঁর ক্লায়েন্ট, ডায়েট চার্ট প্রিপারেশন
সবাই এসে, তাঁর ওই হাসি চোখেই, উত্তর খোঁজে
হতে চায় তাঁরই মতো, সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে
সে ব্যাস্ত তাঁদের উত্তর দিতে
তাঁর টানটান কাজল চোখে , কি জন্মকাজল- আছে?
তাঁর ঠোঁটের নিচের তিলটা কিন্তু বড়ই দুঃখী
ঠোঁটকে ছুঁতে না পারার অভিমানই
আরো সুন্দর করে তুলেছে তাকে
সে সারাদিনই ব্যাস্ত
কিন্তু সে হারিয়ে যায়
সে হারিয়ে যায়, লেখায় ডুবে বিকেলের তিস্তাতে-
জলের উপর ঝুঁকে পড়েছে শ্রাবন সন্ধ্যা-আকাশ,
উড়ন্ত পরিযায়ীর মতো যায় ভেসে সময়
সে হারিয়ে যায়
লাভার পাহাড়ের ওই কালো মেঘটার তলে গিয়ে
সে হারিয়ে যায় চা-বাগানের সবুজ গন্ধটা’তে,
সে সারাদিনই ব্যাস্ত নানান কাজে
তবুও সে হারায় নিজেকে, একায়
গভীর কোনো এক, একায়
যে একায়, আর কেউ যেতে পারেনা সঙ্গে
তাঁর সঙ্গে তখন শুধুই সে,
মন আর সে , হাত ধরাধরিতে, দুজনে
মনের যত্নও তো নিতে হবে তাকে!
তাঁর ঠোঁটের কোণে রাখা হাসিটাও বড়ই, মায়াবী –
সারল্য দিয়েই শান্ত-স্তব্ধ করে রাখে কারুর দুঃখকে
নীলাভ