ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনিদের পাশে বসে কাঁদছে এক বালক। ছবিটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি: মোহাম্মেদ সালেম/রয়টার্স
আল-আউদা স্কুলে হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে নির্মূলে জায়নবাদী সন্ত্রাসী সরকারের যুদ্ধের সম্প্রসারণ’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো করতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানায় গাজার শাসক দল হামাস।
গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টার মধ্যেই হামলা ব্যাপক বাড়িয়ে মঙ্গলবার কমপক্ষে ৭৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে এক দিনে অন্যতম সর্বোচ্চ প্রাণহানি।
আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারে—হামাসের এমন সতর্কবার্তার পরও গতকাল প্রাণঘাতী কয়েকটি হামলা চালাল ইসরায়েল। কাতারের রাজধানী দোহায় নতুন করে আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে।
আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া অনেকে রয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে আব্বাসান শহরে আল-আউদাহ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত ও ৫৩ জন আহত হন।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের ভাষ্য, হতাহত লোকজনের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আল জাজিরার কাছে আসা স্কুল এলাকার এক্সক্লুসিভ ফুটেজে দেখা যায়, ভবনটির আঙিনায় ফুটবল খেলছিলেন তরুণ ফিলিস্তিনিরা। অনেক লোকজন সেই খেলা দেখছিলেন। এমন সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ শোনা যায়। লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ছোটাছুটি করেন।
ফিলিস্তিনি এক বালক আল জাজিরাকে জানায়, হামলায় বেশ কয়েকজন স্বজনকে হারিয়েছে সে।
সে বলে, ‘আমরা বসে ছিলাম। একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে সব ধ্বংস করে দিল।’
এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় বুরেইজ ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ১৪ জনই শিশু। এ ছাড়া উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর এল-বালাহতেও হানা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় তিনজন নিহত হন।
আল-আউদা স্কুলে হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে নির্মূলে জায়নবাদী সন্ত্রাসী সরকারের যুদ্ধের সম্প্রসারণ’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো করতে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানায় গাজার শাসক দল হামাস।