ছবি সংগৃহীত
সন্তানের মধ্যে শৈশব থেকে বিভিন্ন গুণাবলী গড়ে উঠলে তা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত বিকাশে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং সুস্থতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। শিশুদের আগামী সফলতার জন্য গড়ে তুলতে চায় প্রতিটি মা-বাবাই। জেনে নিন যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস থাকলে আপনার শিশু সফল জীবনের অধিকারী হতে পারে। ইতিবাচক যেসব লক্ষণ ছোট থেকেই একজন শিশুকে বদলে দিতে পারে।
১) সহনশীলতা
শিশুরা কখনই সমস্যার সমাধান বের করতে পারে না। অনেকসময় ধীরে ধীরে তাদের রাগের প্রকাশ পেতে শুরু করে। যদি সে ছোট থেকেই সমস্যা দেখে সহনশীল হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নেবেন তার মধ্যে সহনশীলতার গুণাবলী আছে। ছোটবেলা থেকেই শিশুর মধ্যে সহনশীলতার চর্চা আসা জরুরি। একবার সেটা অভ্যাসে পরিণত হলে বাকি জীবনে তার ইতিবাচক ফল পাবে সে।
২) কৌতূহল
আকাশ কেন নীল? সাগরে এতো পানি কেন আসে কোত্থেকে? এমন হাজারো প্রশ্ন খেলা করে শিশুর মাথায়। বড়দের মধ্যে কেউ কেউ এসব প্রশ্নের উত্তর দেন। যদি শিশুর মাঝে কৌতূহল তৈরি হয় ছোট থেকে, তাহলে তার মধ্যে উন্নতি দেখবেন। কারণ কৌতূহলী দৃষ্টি মানুষকে অনেকদূর নিয়ে যায়।
৩) স্ব-শৃঙ্খলা
সুশৃঙ্খল গুণ মানেই সফল একজন মানুষ। আর সেটা যদি তৈরি হয় ছোট থেকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। সব শিশুরই ব্যবহার, বোধ-বুদ্ধি, পরিস্থিতি বিচারের ক্ষমতা আলাদা। তাই শৃঙ্খলা এই সময়ের সবচেয়ে আরাধ্য বস্তু। যদি শৈশব থেকে নিয়মানুবর্তিতার অনুশীলন করে, একদিন সাফল্যমণ্ডিত জীবন হবেই।
৪) সহমর্মিতা
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সন্তানকে যোগ্য করে তুলতে আজকালকার মা-বাবার যেনো ইঁদুরদৌড় প্রতিযোগিতা। ভাবুন তো একবার, আর সে শিশু যদি জন্মগতভাবে সহজাত সহমর্মিতাপ্রবণ হয় তাহলে কেমন হয়? সহমর্মিতা দুর্লভ বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সময়ে। তাই শিশু যদি সমমর্মিতার গুণ নিয়ে বড় হয়, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকগুন।
৫) সৃজনশীলতা
পরিবার, সমাজ, প্রকৃতি থেকে শিশু যে বিষয়ে আগ্রহী হয় ও ধারণা সংগ্রহ করে তা তার জীবন গড়তে সাহায্য করে। প্রত্যেক শিশুর বেড়ে ওঠার নিজস্ব ছন্দ থাকে। যদি নিজস্ব চিন্তার স্বতন্ত্র্য কিছু তার মধ্যে দেখতে পান, সে উন্নতি করবেই।