হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করতে আজ মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইরানের উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে লেবানন, ইরাক এবং ইয়েমেনের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তেহরানের কর্মকর্তারা এ বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গণমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের মাটিতে হানিয়াকে হত্যার জন্য ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হানিয়া হত্যায় ইরান মূলত ইসরাইলকেই দায়ী করছে এবং এ ঘটনা আঞ্চলিক যুদ্ধের উদ্বেগকে উস্কে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বুধবার সকালে তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন। নতুন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন তিনি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার বাসস্থানে ‘ইসরাইলি গুপ্ত হামলায়’ ৬২ বছর বয়সি হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। সে বৈঠকেই ইসরাইলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
এর আগে দিনের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন খামেনি। এক্সের এক পোস্টে তিনি বলেন, ইরানের সীমানার মধ্যে সংঘটিত এই ‘তিক্ত, দুঃখজনক ঘটনার’ পর প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের কর্তব্য।
কয়েক মাস আগে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল ইরান। ইসরাইলের মাটিতে এটিই ছিল প্রথমবার ইরানের সরাসরি হামলার ঘটনা।