সাদা কালো ফ্রেমের সাতটি তারকা একটি পরেছে খসে,
ছয়জন তাঁরা সজল নয়নে -স্তব্ধ রয়েছে বসে ।
নিশিকান্তের বড্ড তাড়া , আগেই গিয়েছে চলে;
ওর সাথে কোন কথা কব নাকো ওপারেতে দেখা হলে।
কথা ছিল মোরা সাতটি তারা একসাথে যাব নিভে,
আমাদের এই মনের মিতালী চির অমলিন রবে।
নিশিকান্ত মুখচোরা খুব,আর ছিল খুব ভীরু,
মাসিমার হাতে খেয়েছি কতো আমের আচার, নাড়ু।
আসি বলে ব্যাটা বিলেত গেল আর না আসিছে ফিরি;
কে জানিত তাহার ফুরায়েছে দিন, ঘাটে বাঁধা আছে তরী।
সকলে আমরা ষাটের কোলে ওর হয়েছিল ত্রিশ,
বড় অবেলায় মরনের কাছে করিয়াছে কুর্নিশ।
বাবর আলী সেতো বেজায় আরামে, ইস্তফা দিয়ে কাজে;
ওর বাড়িতেই গল্পের আসর বসায় মাঝে মাঝে।
কপোত-কপোতী দুজনের ঘর, ছেলে-মেয়ে নেই দেশে;
আমাদের সাথে যোগ দেয় মাঝে আনারকলি এসে।
বাবর আলী আর আনারকলির প্রেম ছিল বটে খাসা;
বেকার ছেলেকে মানবে না তাই ছাড়িয়া ছিল সে বাসা।
টিপু সুলতান চির কুমার বটে, আজও বিবাহ করেনি সে,
প্রেয়সী তাহার প্রনয় ভুলিয়া সংসারী অবশেষে।
মহা সুখে আছে মহসিন আর দিলরুবা দম্পতি,
হাসি মাখা সেই পরিচিত মুখ আমাদেরই সহপাঠী।
কত রাত তার উপোসে কেটেছে, সঙ্গে দীর্ঘশ্বাস;
আজীবনের তরে ভালোবেসে তাঁরা রচিয়াছে ইতিহাস।
গানে কবিতায় দোসর ছিল আসাদ জামান -আপন,
গিটারের তারে হরণ করেছে কত রমনীর মন!
এভাবেই বুঝি পেরিয়েছে দিন সময়ের স্রোতে ভেসে,
একেক করে পাড়ি জমাবো অচিন কোনো দেশে।
যতদিন আছে হৃদয়ের শ্বাস রবে অমর বন্ধুবর,
সুখে দুঃখে মোরা একসাথে রবো অমর সহচোর।
স্রোতস্বিনী বিশ্বাস।